গেল ১৮ জুলাই সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা পয়েন্টে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলামের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর চলে এমন নির্মমতা।
বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে পুলিশের সাঁজোয়া যানের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ইয়ামিন। তখনই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয় তার বুক। গুলিবিদ্ধ মুমূর্ষু ইয়ামিনকে সাঁজায়ো যানেই সড়কে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একপর্যায়ে ফেলে দেয়া হয় সড়কে। এ ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। একদফা দাবিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে শেখ হাসিনার মসনদ। ইয়ামনিকে হারানোর পরও বিজয় গৌরবে গর্বিত তার বাবা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন।
ইয়ামিনের বাবা বলেন, 'আমি হয়তো এর বিচার করতে পারবো না। দেশের আইনে যেন এর বিচার হয়। আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।'
শহিদ ইয়ামিনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই প্রথমে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় এবং পরে সাভারের তালবাগের কবরস্থানে দাফনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তার পরিবার। পরে ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দলীয় নির্দেশে শনিবার সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ইয়ামিনের পরিবারের খোঁজখবর নিতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। এসময় ইয়ামিনের বাবাসহ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করা হবে।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার সাথে আমাদের দলের কথা হয়েছে। আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছি। ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই বিচার বিশেষ আদালতে করার দাবি জানিয়েছি। এ ঘটনার জন্য শেখ হাসিনার বিচার চাই।'
২ সন্তানের মধ্যে ইয়ামিন ছিল বড়। সে মিরপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এমআইএসটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ইচ্ছে ছিল কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা শেষে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার।