বৃদ্ধ বাবার একমাত্র ভরসা ছেলে মাসুদুর রহমান মানিক। জীবিকার তাগিদে থাকতেন ঢাকায়। গেল ১৯ জুলাই নামাজের জন্য বের হয়ে পড়েন সহিসংতার মাঝে। এ অবস্থায় শেষবারের মতো বাবাকে ফোনে সতর্ক করে জানান সাবধানে থাকতে। তবে ১৫ মিনিট পরই খবর আসে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন একমাত্র ছেলে। বাবার চোখে-মুখে এখন বিষাদের ছাপ।
মানিকের বাবা বলেন, মসজিদের দরজার এখানে আসছি তখন ফোন আসে জানানো হয় মানিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে মারা যায়।
রাজধানীর বাড্ডায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন তিনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন মানিক। গেল ২০ জুলাই তাকে দাফন করা হয় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া পৌর এলাকার অর্জুনতলায়।
একদিকে শোক, অন্যদিকে পরিবারের হাল ধরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার পরিবারের। শোকে পাথর বৃদ্ধ বাবার কাঁধে এখন ছেলের স্ত্রী, সন্তানসহ পুরো পরিবারের দায়িত্ব।
মানিকের বাবা আরও বলেন, ‘আমার এই বয়সে পরিবারের হাল ধরা কষ্টকর হয়ে পড়বে।’
বারো বছর বয়স থেকেই লেখা-পড়ার সুবাদে মাসুদুর রহমান বড় হয়েছেন ঢাকায়। তবে ছিলেন না কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। পড়ালেখা শেষে হাল ধরেন সংসারের। তার এমন মৃত্যুতে শোকাহত পুরো গ্রাম।
মাসুদুর রহমানের মতোই গেল কয়েক দিনে সহিংসতায় কুমিল্লার ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন।