নাহিদ ইসলাম সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এক দফা দাবিতে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব।'
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে আগামীকাল সকল জেলা, উপজেলা, পাড়ায়, মহল্লায় বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
সকল খুনের বিচার ও রাজবন্দিকে মুক্তির কথা উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়, সকল ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম। আগামীকালের মধ্যে হল খোলা না হলে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে হল খুলে প্রবেশ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল সমন্বয়করা। আর আজ শহীদ মিনারে এবার এক দফা দাবি তুলে ধরলো তারা। নাহিদ ইসলাম ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের।