শনিবার সকালে কুমিল্লা জেলা স্কুলের সামনে অবস্থান নেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাম্প্রতিক সহিংসতায় ছাত্রদের নিহতের প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্ররা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে মুখোমুখি অবস্থান নেয় প্রতিপক্ষ। দু'পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের হয়রানি, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সিলেট শহীদ মিনারে মানববন্ধন করছে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ। প্রতিবাদ সমাবেশ করে সিলেটের অভিভাবক সমাজ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা। এতে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ ও নিহতের বিচারের দাবি করেন।
এছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেন অভিভাবকরাও। পরে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে নগরীর তালাইমারি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, বরিশাল বিএম কলেজ থেকে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিল নথুল্লাবাদ টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এতে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।