শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ শিল্পীসমাজ এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান ও গানে গানে প্রেসক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করে।
বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায় দ্রোহ যাত্রা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে এতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
সহিংসতায় নিহতদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার সম্মিলিত উদ্যাগে জনসমুদ্রে পরিণত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয় এ কর্মসূচিতে। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন, 'আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই'।
শিক্ষার্থী-জনতার এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন দ্রোহ যাত্রায় জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, আসিফ নজরুল, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
দ্রোহ যাত্রা শেষে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম।
তিনি বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, গ্রেপ্তার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।’
রাজধানীর বাইরেও আজ পালিত হয়েছে দ্রোহ যাত্রা। ময়মনসিংহে আজ বেলা ১১টায় নগরের মালগুদাম চত্বর থেকে শুরু হয়ে টাউন হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয় কর্মসূচি।