মন্ত্রী বলেন, 'আমাদেরকে ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে এবং টিকিট রিফান্ড করতে হবে ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার ওপরে। সুতরাং পশ্চিম ও পূর্বাাঞ্চলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা।'
এরইমধ্যে যাত্রা বাতিল হওয়া মৈত্রী ও মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮-২০ জুলাইয়ের টাকা ফেরত দেয়া হয়। তবে ২০ তারিখের পর বাতিল হওয়া যাত্রীদের রিফান্ড দেয়া হয়নি। অভ্যন্তরীণ ট্রেনের টিকিট রিফান্ড দেয়া হবে অনলাইন সেবা চালু হলে।
এক যাত্রী বলেন, 'আমি আজকে রিটার্ন নিয়েছি। শতভাগ টাকা বুঝে পেয়েছি। আমার যাত্রা ছিল মৈত্রী এক্সপ্রেসে।'
তবে ২০ তারিখের পর বাতিল হওয়া যাত্রীদের রিফান্ড দেয়া হয়নি। তাতে অনেকেই অভিযোগ ও ক্ষোভ জানান। যারা জরুরি কাজ কিংবা চিকিৎসা সেবায় ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্যে টিকিট কেটেছিলেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে আন্তঃদেশিয় সব ট্রেনের টিকিট রিফান্ড করা হবে। তবে অভ্যন্তরীণ ট্রেনের টিকিটের টাকা পেতে অপেক্ষা করতে হবে অনলাইন সেবা পুরোপুরি চালু হওয়া পর্যন্ত।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'যখন ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু হবে, তখন অভ্যন্তরীণ টিকিট রিফান্ড দেয়া হবে। যাত্রীরা কাউন্টার আর অনলাইনে টাকা তুলতে পারবে।'
পূর্বঘোষিত ট্রেন চালুর খবরে এদিন কেউ কেউ কমলাপুর এসে ফিরে যান।
এদিকে গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) রেল সচিব হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, আজ থেকে সীমিত পরিসরে রেল চালু হবে। তবে সকাল থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করে নি।
রেল সচিব গতকাল বলেছেন, 'বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু হচ্ছে। কারফিউ শিথিল থাকাকালীন লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। তবে এক্ষুনি কোনো আন্তঃনগর চলবে না।'
উল্লেখ্য, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে গত ২০ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এর পরই বন্ধ করা হয় রেল যোগাযোগ।