সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারে কমিশন গঠনে সরকারের নির্বাহী ঘোষণা এলে কর্মসূচি থেকে আজকেই সরে যাবে আন্দোলনকারীরা। তবে তার আগে কোটা সংস্কারের একটা নির্বাহী আদেশ প্রয়োজন কিংবা ত্রুটিহীন পরিপত্র।’
আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে এ সময় আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কর্মসূচি অনুযায়ী কাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সারাদেশে অর্ধদিবস ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলমান থাকবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে।'
তিনি বলেন, ‘ সারাদেশের সড়ক ও রেলপথ এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে। আমরা নির্বাহী বিভাগকে বলতে চাই, অতি দ্রুত আমাদের দাব মেনে নিলে আমরা পড়ার টেবিলে বসতে পারি।’
তিনি বলেন, 'যদি নির্বাহী বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্বাহী আদেশ জারি করে কিংবা একটি ত্রুটিহীন পরিপত্র জারি করে তাহলে আমরা দ্রুত রাজপথ ছেড়ে দিবো। কেন ত্রুটিহীন বললাম, কারণ ২০১৮ সালের পরিপত্রের খেলা আমরা আর চাই না।'
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'কোটা সংস্কারে কমিশন গঠন করে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে রিসার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোটা ব্যবস্থায় যে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক ও বর্তমান সময়ে অপ্রাসঙ্গিক কোটা রয়েছে তা বাদ দিয়ে শুধু অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কোটা রেখে কোটা সংস্কার করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি শুধু প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী ও মুক্তিযুদ্ধোদের সন্তান ( কোনো নাতি বা পৌষ্য নামক কোটা নয়) এই তিনটি জায়গায় আমরা কোটা সমর্থন করি।'
বাংলাদেশের তরুণ সমাজ মনে করে এই কোটা আমরা যদি জনসংখ্যার হারেও ডাবল করি তাহলেও ৫ শতাংশের বেশি হয় না বলে জানান তিনি।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাত সদস্য ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আবারো আন্দোলনে নামে কোটা সংস্কারে সমর্থনকারী ছাত্ররা।