দেশে এখন
0

ইজিবাইকের দখলে চুয়াডাঙ্গা শহর

চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো যেন ইজিবাইকের দখলে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা ও পার্কিংয়ের কারণে তৈরি হচ্ছে যানজট। এতে দুর্ঘটনার সাথে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর। গাণিতিকহারে বৃদ্ধি পাওয়া এসব ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে পৌরসভা বেশ কয়েকবার কর্মসূচি নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সচেতন নাগরিকরা বলছেন সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে মিলছে না সুফল।

চুয়াডাঙ্গা শহরে যানবাহনে কোনো গন্তব্যে যেতে হলে শুরুতেই ভেবে নিতে হয় কোন পথ ফাঁকা পাওয়া যাবে। কারণ পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।

এ যানজটের কারণ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, যা ভোগায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। শহরে প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি ইজিবাইক চলাচল করছে। যে সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। আর অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের স্বেচ্ছাচারী আচরণে ভোগান্তি যেন আরও বাড়ে।

এই ইজিবাইককে লাইসেন্সের আওতায় আনা গেলে ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন যাত্রীরা।

যানজট ও ভোগান্তি এড়াতে কয়েক বছর আগে হাসপাতাল সড়কটিতে একমুখী চলাচলের ব্যবস্থা করলেও তা মানতেও যেন অনীহা। সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দায়িত্ব কর্মরত যারা থাকেন তারা আসলে ঠিকই রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু অন্যান্য সময় রাস্তায় যানজট চলতে থাকে।

শহরে কি পরিমাণ ইজিবাইক চলাচল করে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই কর্তৃপক্ষের কাছেও। তবে, নিয়ম মানাতে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হলেও তাতে নেই সুফল। তবে মেয়র বলছেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে নেয়া হয়েছে নতুন পরিকল্পনা।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন জানান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ন্ত্রন করা খুব কঠিন। মেয়র আরও বলেন, যখনই কাজ ধরি তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে সুপারিশ আসে। ১৫ দিন পর আবার কাজ শুরু করবো।

এ অবস্থায় সচেতন নাগরিকরা বলছেন সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভাবেই কমছে না যানজট। গণমাধ্যমকর্মী নাজমুল হক স্বপন জানান,'পুলিশ প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া দরকার।'

যানজটের বিষয়টি স্বীকার করে সমন্বিত উদ্যোগের কথা জানায় জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতনতার ওপর জোর দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এই কাজ একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। সমন্বিত উদ্যোগে এই ইজিবাইক সমস্যার সমাধান সম্ভব।

ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করে নগরের সড়কে দ্রুত শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি পৌরবাসীর।