নিহতরা হলেন রংপুর মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও কান্দুলি গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন মিল্টন (২১) এবং তার বন্ধু একই গ্রামের সাদা মিয়ার ছেলে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর আড়াইটার পরে দু’টি ছোট নৌকা নিয়ে মিল্টন, আমানুল্লাহসহ তারা ৮ বন্ধু বাইলসা (গজারমারি) বিলের নলাডুবা এলাকায় ঘুরতে যায়। এসময় পানির তোরে একটি নৌকা ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে যায় এবং মিল্টন ও আমানুল্লাহ নিখোঁজ হয়। পরে ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মিল্টন ও আমানুল্লাহকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। আর আহত তিন বন্ধুকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, 'টানা কয়েকদিনের থেমে থেমে বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়গুলো পানিতে ভরপুর। মূলত পানি দেখতে গিয়েই নৌকা উল্টে দুইজন মারা গেছে।'
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, 'ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'