বনশ্রীর বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ তার ছেলেমেয়ের বায়না মেটাতে ঈদের দ্বিতীয় দিনে চিড়িয়াখানায় এসেছেন ঘুরতে। বাবা খুব আগ্রহ নিয়ে তার সন্তানদের চেনাচ্ছেন খাঁচায় থাকা বিভিন্ন জীবজন্তুকে।
আতিকুল্লাহ'র সন্তানদের মতো ঈদ আনন্দে ঘুরতে বের হয়েছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে বৈরি আবহাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার চিড়িয়াখানায় ভিড় কম। এতে কমেছে আয়।
দর্শনার্থীদের একজন বলেন, 'জায়গাটা সুন্দর, পশু-পাখি সবারই পছন্দ। তাই এখানে ঘুরতে আসছি।' আরেকজন বলেন, 'বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য চিড়িয়াখানায় আসা। সব জিনিস এক সঙ্গে দেখা যায়। বিনোদনও হয়, বাচ্চারাও জানতে পারে।'
এদিকে, চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীরা আনন্দে উল্লাসে সময় কাটালেও কণ্ঠে ছিল পশু পাখিদের রাখা খাঁচার ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগ। এছাড়া ই-টিকেটিংসহ খাবার দোকানের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে কথা বলেন তারা। একজন বলেন, 'এখানে প্রাণির সংখ্যা কমে গিয়েছে ও সংরক্ষণ ঠিকভাবে হচ্ছে না।'
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলছেন, নতুন মাস্টারপ্ল্যানে রাখা হয়েছে আধুনিক চিড়িয়াখানার সবকিছুই। এতে থাকবে ই-টিকেটিংসহ বিজ্ঞানসম্মত পশুর খাঁচা।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৮০ হাজার টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। যা প্রত্যাশার চেয়ে কম।
পরিচালক বলেন, 'এবার প্রায় সরকারকে ২৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব দিচ্ছি। চিড়িয়াখানার যে ব্যয় তার থেকে রাজস্বের পরিমাণ একটু বেশি। '
এদিকে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরমে রাজধানীর খোলা আকাশের নিচে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় তেমন একটা ছিল না।