কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের খাদ্যের যোগান যায় টেকনাফ থেকে। শতাব্দীকাল ধরে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসব পণ্য আনা নেয়া চলে। যেখানে মিয়ানমারের এক কিলোমিটারের মতো জলসীমা ব্যবহার করতে হতো। তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে সম্প্রতি নাফ নদীতে ট্রলার দেখলেই গুলি চালানোর ঘটনায় বন্ধ হয়ে গেছে এ নৌ-রুটের যোগাযোগ।
একদিকে মিয়ানমারের জলসীমায় দেশটির যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি অপরদিকে দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে খাবার ও চিকিৎসা সেবার সংকট। এমন পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে বিকল্প সমুদ্রপথে দেড়শ' টন খাদ্যপণ্য পৌঁছানো হলেও উদ্বেগ কাটেনি। প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
দ্বীপের এক বাসিন্দা বলেন, 'এমন সংকট অতীতে কখনও দেখিনি আমরা। নাফ নদীতে কেউ যেতে পারছে না। খাবারের সংকট আছে। আমরা কোথাও যোগাযোগ করতে পারতেছি না।'
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, 'দ্বীপবাসী বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দুই দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।'
এদিকে দ্বীপবাসীর যেকোনো সংকটে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, টেকনাফের সাথে সেন্টমার্টিনের যোগাযোগের জন্য শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় খননের মাধ্যমে আরেকটি বিকল্প নৌরুট চালুর কথা ভাবা হচ্ছে।
প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার। যারা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা বৈরিতার সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছেন।