সেখানে ৭ থেকে ৮ হাজার টন চুনাপাথর খালাস করে ড্রাফট কমিয়ে এটি বাকী পাথর খালাস করবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে। তবে মুক্ত ২৩ নাবিক জাহাজ থেকে সাইন অফ বা নেমে যাবেন কুতুবদিয়াতে। তাদের নিয়ে আসতে বিকেল চারটায় বিকল্প দল বা রিপ্লেসমেন্ট টিমের নতুন ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে এম ভি জাহান মনি-৩ নামে একটি লাইটারেজ জাহাজ। এসআর শিপিংয়ের এই জাহাজটি চট্টগ্রাম সদরঘাটের কেএসআরএম জেটি থেকে যাত্রা করে।
মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম জেটির অপারেশন ইনচার্জ এম মিজান জানান, বিকল্প ২৩ নাবিক এম ভি আব্দুলাহ জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন। মঙ্গলবার সকালে মুক্ত ২৩ নাবিককে নিয়ে জাহান মনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। দুপুর নাগাদ জাহাজটি মুক্ত নাবিকদের নিয়ে সদরঘাটের কেএসআরএম জেটিতে ভিড়বে।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর ৩৩ দিন পর মুক্তিপণ নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এরপর আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি।
২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ২১ এপ্রিল বিকেলে শারজাহ বন্দরের বহির্নোঙর করে। পরদিন ২২ এপ্রিল রাতে জেটিতে নোঙর ফেলে। এরপর শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া। ১ মে মধ্যরাতে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ চট্টগ্রামের উদ্দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমুদ্রসীমা ত্যাগ করে বলে জানান জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামান।