গতকাল (মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল) সকালে রেলভবনে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
মুক্তিযুদ্ধে মস্কোর অমূল্য সমর্থনের কথা স্মরণ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকেই রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক বিরাজমান। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। আর রাশিয়া আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। রাশিয়ার অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।’
মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ, মিটারগেজ, ডুয়েলগেজ দ্বারা বিভক্ত। আমরা ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছি। রেলের আরও সম্প্রসারণ করে প্রত্যেকটি জেলায় রেল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। রাশিয়া আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে রাশিয়ার বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের রেলওয়ের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত এ সময় রাশিয়ার বিভিন্ন রেল স্থপনা পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।