ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে রাজধানীর শপিংমল, মার্কেটে ততোই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা দোকানে, দোকানে খুঁজছেন উৎসবের পছন্দসই পোশাক।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকটা সময় নিয়েই কেনাকাটা করেছেন সব বয়সী মানুষ। চেষ্টা ছিলো সাধ্যের মধ্যে দাম দর করেই নিজেদের কেনাকাটা করার।
ক্রেতারা বলেন, ‘বাচ্চাদের পছন্দ আগে। তাদের কেনাকাটা শেষে আমরা কিনবো।’ আরেকজন বলেন, ‘আমি এর আগেও তিনদিন এসেছি। সব মার্কেটে একই ধরনের অভিজ্ঞতা, দাম আগের থেকে একটু বেশি।’
বড়দের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিড় ছিলো শিশুদেরও। পছন্দের পোশাক কেনায় উচ্ছ্বাস ছিল তাদের মাঝেও। এক শিশু বলে, ‘আমি পছন্দ করি চায়না ড্রেস, এগুলো আমার ভালো লাগে।’
বছরের সবচেয়ে বড় কেনাকাটার মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ এসময় সারা বছরের প্রায় অর্ধেক বিক্রি হয়ে থাকে।
বিক্রেতারা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ১৫ রমজানের পর থেকে আরও বেশি বিক্রি হবে।’
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘আগের থেকে এবার দাম একটু বাড়তি। আমাদেরও বেশি দামে কিনে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। কাস্টমারের কাছে বেশি দাম চাইতে হচ্ছে।’
মার্কেটগুলোর পাশাপাশি ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি আর্কষণ থাকে ক্রেতাদের। বেশি চাহিদা পাঞ্জাবি ও শার্টের। বিক্রেতারা বলছেন, পোশাকের মানের পাশাপাশি দামের দিকটিও খেয়াল রাখছেন তারা।
কান্ট্রি বয়ে আসা ক্রেতারা বলেন, ‘কোয়ালিটি মেইনটেইন করে তারা। আমি যদি নন ব্র্যান্ডের দোকানে যাই, তাহলে বুঝতে পারবো না কতোদিন কাপড় ভালো থাকবে, রঙ উঠবে কিনা। সেক্ষেত্রে ব্র্যান্ড একটু দাম বেশি নিলেও পোশাক ভালো দেয়।’
আরেকজন বলেন, ‘তাদের ডিজাইন খুব ভালো। খুব সিম্পলের মধ্যে পোশাকগুলো ডিজাইন করে থাকে যার ফলে ভালো লাগে।’
কান্ট্রি বয়ের বিক্রেতারা বলেন, ‘পাঞ্জাবি, শার্ট এগুলোর রেগুলার কাস্টমার অনেক। পোশাকের মানের কারণে আমরা রেগুলার কাস্টমার পেয়ে থাকি। আর দামও সাধ্যের মধ্যে।’
উৎসবের আমেজে ধীরে ধীরে আরও বিক্রি বাড়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।