প্রকৃতির সব ঋতুই উৎসবের। তবে অগ্রহায়ণে নতুন ফসল উঠার যে উৎসব, কৃষকের ঘরে যে আনন্দ গান, তার সুর হীম শীতকে করে তুলে উষ্ণ।
বিসর্জনের নদী পেরিয়ে যে অর্জন, তা উদযাপনে বরাবরই বহুমাত্রিক লাখো শহীদের উত্তর প্রজন্ম। স্মরণে-শ্রদ্ধায় জাতীয় ময়দান ছাড়িয়ে তাই বিজয়ের খুশি পাড়া-মহল্লা, অলি-গলি কিংবা সড়কের ছোট ছোট ক্যানভাসেও ছড়িয়ে পড়ে।
এক কৃষক বলেন, অগ্রহায়ণ মাসের বৃষ্টিতে আমাদের আলুসহ সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তো উৎসব পালন কষ্ট হয়ে যায়।
ষাটোর্ধ্ব আরেক কৃষক বলেন, 'জোরালাভাবে হয়তো পৌষ উৎসব পালন করতে পারবো না। দেশ ভালো আছে, সরকার ভালো উন্নয়ন করছে। কিন্তু যারা গরীব মানুষ আছে, তাদের উন্নয়ন এখনও হয়নি।'
এখন হয়তো আর শীতবস্ত্রের অভাবে হাঁটুতে হাত মুখ গুঁজে, গায়ে সূর্যের তাপ লাগিয়ে এবং আগুনের পাশে বসে শীতের প্রকোপ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করতে হয় না। কিন্তু ফসল-ফলনের যে হিস্যার হিসেব এবং পিঠে পুলির রসে ডুবে যাওয়ার আনন্দে কতোটা সাম্য আছে? এমন পৌষের দিনই বাংলাদেশ বিজয় স্পর্শ করেছিল, এসেছিল তার সাম্য ও মুক্তির দিন।
অর্থনীতিবীদ সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘এ বছর মূল্যস্ফীতির সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে খুব বেশি অর্থ থাকছে না।‘
বাংলাদেশ ৫৩ বছরে একের পর এক গতিরোধক ডিঙিয়ে ছিনিয়ে আনছে বিজয়। সেই বিজয়ের রোদের উত্তাপ হোক অকৃপণ, এবারের পৌষ ও বিজয়ের দিনে এই হোক অঙ্গীকার।