গত দুদিন ধরে সকাল সকাল দেখা নেই সূর্যের। কুয়াশায় মোড়ানো থাকছে চারপাশ।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী পাড়েও কুয়াশার প্রকোপ আর শীতল হাওয়ার দাপট। ভোর থেকে তাই ব্যাহত নদীকেন্দ্রিক জনজীবন। যাত্রী কম থাকায় উপার্জন কমেছে সাম্পান মাঝিদের।
মাঝিরা বলেন, 'অন্যান্য বছরের তুলনায় ঠান্ডা খুব বেশি। আমাদের কুয়াশার মধ্যে সাম্পান চালাতে কষ্ট হয়। যাত্রী কমে যাওয়ায় আমাদের আয়ও কমে গেছে। ২০০-২৫০ টাকা আয় করতেই দিন শেষ হয়ে যায়।'
শীতের আগমনী সুরে সূর্যটাও আড়মোড়া ভাঙ্গে অলস ঢংয়ে। তাই সকাল ১০ টার আগে রোদের দেখা মেলেনি। নদীতে নৌযান চলাচলে বাধা হয় কুয়াশা।
ট্রলার চালকরা জানান, কুয়াশার দিন তাই কষ্টই হচ্ছে।
শীতের লেপের আদরে স্বচ্ছলদের ঘুম ভাঙ্গলেও শ্রমজীবীদের ভোরটা শুরু অনিশ্চয়তায়। এই সময় নগরের চকবাজারে কাজ না পেয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেক দিনমজুর। প্রকৃতির এই নতুন বার্তা তাদের রুটি-রুজির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শ্রমিকরা বলেন, 'শীতের মধ্যেও ৬ টায় আসি। তবে কোনদিন কাজ পাই, আবার কোনদিন পাইনা। এই সময়টায় কাজ কম পাওয়া যায়। আমাদের তো সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।'