১১ মাস ধরে কঠোর প্রস্তুতি। আর বছরের শেষে এখন কঠিন পরীক্ষার পালা। তবে সেটা অনেকটা উৎসবের উপলক্ষ্য নিয়ে হাজির হয় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল এন্ড কলেজে। শিরোপা জয়ের তীব্র আকাঙ্খা, প্রতিটা ম্যাচে টান টান উত্তেজনা, উল্লাস, আনন্দ কোনো কিছুরই কমতি থাকে না।
ছোট হোক আর বড়, যেকোন টুর্নামেন্ট আয়োজন সফল হয় আর্থিক নিশ্চয়তায়। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেক সময় ঝরে যায় প্রতিভাবান অনেক খেলোয়াড়। অর্থের জন্য সামনের দিকে এগোনোর আগেই পিছিয়ে পড়ে অনেক পা।
আর সেখানে খেলাটা যখন বাস্কেটবল, তখন আরও কঠিন স্পন্সর খুঁজে পাওয়া। তবে, খেলোধুলাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি গ্রুপ পাশে দাঁড়িয়েছে সেন্ট গ্রেগরির এই চেষ্টায়। নাম লিখয়েছে টুর্নামেন্টে স্পন্সরের ভুমিকায়।
বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক সাকিব হোসেন বলেন, 'সবসময় আমাদের সাথে থাকে সিটি গ্রুপ। এছাড়াও কো-স্পন্সর হিসেবে কোন স্পন্সর পেলে আমরা আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে পারবো।'
এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুশি বিভিন্ন স্কুলের খেলোয়াড়রা। যেন এটি তাদের কাছে খেলার চেয়েও বেশি কিছু।
এক্সেল একাডেমি'র কোচ সামসুজ্জামান দাইয়ান বলেন, 'খেলাধুলার মাধ্যমে ব্যাক্তিত্ব গঠিত হবে। এছাড়াও এখান থেকেই ভবিষ্যতে জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হবে।'
অংশগ্রহণকারীরা জানান, 'স্কুলে খেলার জায়গা না থাকলে অনেক ক্লাব আছে যেখানে খেলা শিখতে পারবে। পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে সবকিছুই ভালো লাগে।'
এদিকে ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফাইনাল ম্যাচের খেলার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো স্কুল-কলেজ পর্যায়ে টিচার্স মেমোরিয়াল বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট- ২০২৩। ৫টি সেন্ট ( খ্রিস্টান) স্কুল এন্ড কলেজের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে আজ বালক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন জয় লাভ করে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল এন্ড কলেজ। রানার্সআপ হয় গাজীপুরের নিকোলাস স্কুল।
আজ শনিবার বিকালে সিটি গ্রুপের স্পন্সরে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুলে আয়োজন হয় এ টিচার্স মেমোরিয়াল বাস্কেকবল টুর্নামেন্ট। খেলা শুরুর পর ৪টি কোয়ার্টারে ৮ মিনিট করে মোট ৩২ মিনিট তুমুল লড়াই চলে গ্রেগরী আর নিকোলাসের সাথে। শেষ ভাগে সেটে এসে গ্রেগরী ৪৩ আর নিকোলাস ৪১ পয়েন্ট অর্জন করে। অতিরিক্ত ২ মিনিটের ব্যবধানে ২ পয়েন্টে জয় ধরে রাখে গ্রেগরী। আর রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট নিকোলাস স্কুল।
সেন্ট গ্রেগরী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেরা সিএসসি বলছেন, ইলেকট্রনিক গেজেট থেকে বেরিয়ে আসতে খেলাধুলার বিকল্প নেই, খেলাধুলা মন পরিধিকে প্রসার ঘটায়।
বিভিন্ন স্কুলের ২১টি দল ছাড়াও সাবেকদের নিয়ে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ ডিসেম্বর।