রং তুলির মাধ্যমে যুগযুগ ধরে চিত্র শিল্পীরা তুলে ধরেছেন জীবন ও জনপদের প্রতিচ্ছবি। সাদা কালো কিংবা রঙিন তাদের আকাঁ প্রতিটি ছবিই যেন শব্দহীন এক বার্তা।
ছবির পাশাপাশি সাইনবোর্ড ও ব্যানার তৈরিতেও পারদর্শী চিত্রশিল্পীরা। তবে, ডিজিটাল প্রিন্টের দাপটে এখন কোনঠাসা তারা। অনেকেই উপর্জন হারিয়ে হয়ে পড়েছেন বেকার।
তাদের একজন পটুয়াখালীর সুমন মৃধা। একসময় রং তুলিতে যিনি অন্যের ভূবন রঙিন করেছেন, আজ তার জীবনই বিবর্ণ, রংহীন।
সুমন মৃধা বলেন, '১৫ দিন পর তিনটি ব্যানারের কাজ পেয়েছি। এভাবে কাজ চলতে থাকলে আমরা কোনোভাবেই ভালো থাকতে পারি না। দোকান ভাড়া, সংসার খরচ, ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারি না কারণ কাজ কম এখন।'
পটুয়াখালীর চিত্রশিল্পী সুমন মৃধা।
ডিজিটাল প্রিন্টারের আধিপত্যে জেলায় বন্ধ হয়েছে প্রায় শতাধিক ব্যানার ফেস্টুন তৈরির প্রতিষ্ঠান। দারিদ্রতার যাঁতাকলে অনেক চিত্রশিল্পী বদলে ফেলেছেন পেশা। তাই পেশা টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি তাদের।
চিত্রশিল্পীদের বেকার হয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে এসেছে জেলা প্রশাসকের। তাই সরকারি সহায়তা ও প্রণোদনার আশ্বাস দিলেন তিনি।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম জানান, 'আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিল্পীদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা আছে, আবার এককালীন ভাতার ব্যবস্থাও আছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে নীতিমালার ভিতরে থেকে আমরা তাকে সহযোগিতা করব।'
তবে, শুধু আশ্বাস নয় রং-তুলির শিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের কাছে দাবি তোলেন জেলা কর্মাশিয়াল সাইন আর্টিষ্ট এসোসিয়েশনের সদস্যরা।