নাম শরবতে মোহাব্বত। রোজাদারের প্রতি মহব্বত বাড়াতে অন্যসব সামগ্রীর মত এটিতেও বিক্রেতার হাঁকডাক আর নজরকাড়ার চেষ্টার অন্ত নেই। দুধ, তরমুজ ও রুহ আফজা মিশ্রণে তৈরি। কিন্তু কতটা নিরাপদ এ পানীয়! ব্যস্ততায় হয়ত অনেকেরই খেয়াল করা হয়ে ওঠে না মান-মেয়াদ কিংবা পুষ্টিগুণ। এ শরবতের বোতলে কোন লেবেল নেই, নেই উৎপাদন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। কী রং মেশানো আছে এতে? খাবার উপযোগী নিরাপদ রং তো?
মুখরোচক চিকেন সাসলিকেও রংয়ের ছড়াছড়ি। বিক্রেতার কথায় ক্রেতার মন গলাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে রং গলিয়ে তৈরি তার খবর কি বিক্রেতা নিজেও রাখেন?
শুধু খাদ্য উপকরণই নয়, সাজানোর উপাদান ব্যবহারেও উদাসীনতা। কোন কোন দোকানে খবরের কাগজের ওপরই রাখা হয়েছে ইফতার সামগ্রী। এতে খাবারে মিশে যাচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কার্বন।
শতাধিক পদের ইফতার সামগ্রী বিক্রি হয় চকবাজারে। ঐতিহ্যগত কারণেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইফতার কিনতে আসেন মানুষ। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে দেখা গেল বেশিরভাগ উপাদানই উপকার তো দূরের কথা, ক্ষতির আধার হয়ে বসে আছে, যা টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছেন ক্রেতা।
একজন ক্রেতা বলেন, 'সিলেট থেকে সহকর্মী আসছে। ইফতারের এই বাজার দেখাতে নিয়ে আসছি।'
বেশিরভাগ দোকানেই অনিয়ম পায় অভিযানকারীরা। এবার সচেতন করা হলেও, পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি তাদের।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একজন বলেন, 'কোন ধরনের কালার ব্যবহার করে। তারা সবসময় সঙ্গে রাখে যেন কেউ দেখতে চাইলে দেখাতে পারেন। বেশির ভাগই দেখলাম মেয়াদোত্তীর্ণ। বোতলের লেবেলে হাতে কালি দিয়ে লেখা। ঘষা দিলেই মুছে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে পরামর্শ দিলাম যেই কালিগুলো মুছে না সেইগুলো ব্যবহার করতে।'
বিক্রেতার পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হবার আহ্বান জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।