আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

হিলি বন্দরে মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি ব্যাহত, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

হিলি বন্দরে গড়ে উঠেছে ভারত থেকে আমদানি করা মোটরসাইকেল পার্টসের দোকান। মান ভালো ও দাম কমের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পার্টস কিনতে আসেন ক্রেতারা। প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, অনুমতি থাকলেও হিলি দিয়ে পার্টস আমদানি করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

হিলি বন্দর ঘিরে বাজার, চারমাথা মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল পার্টসের দোকান। পার্টসের দোকানে মিলছে বিভিন্ন ভারতীয় কোম্পানির মোটরসাইকেল পার্টস। মানে মোটামুটি ও দাম কিছুটা কম হওয়ায় এখানকার পার্টসের চাহিদা দেশের বিভিন্ন স্থানে।

অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি হয় পার্টস। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার পার্টস কেনা-বেচা হয়। এছাড়াও পার্টসের দোকানগুলোতে কাজের সুযোগ হয়েছে প্রায় শতাধিক বেকার যুবকদের।

বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে এই পার্টস হিলির বাজারে আসে। হিলি দিয়ে মোটরসাইকেল পার্টস আমদানির অনুমতি থাকলেও কাস্টমসের অসহযোগিতায় তা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই বন্দর দিয়ে আমদানি হলে আরও কম দামে বিক্রি সম্ভব বলেও জানান তিনি।

হিলি মোটর পার্টস সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেলের পার্টসের জন্য হিলির সুনাম রয়েছে। এখানে প্রায় ২৮ থেকে ৩০টা দোকান গড়ে উঠেছে। এরইসঙ্গে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।’

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘যদি হিলি বন্দর দিয়ে মোটরসাইকেল পার্টস আনা যায়, তাহলে পুরো উত্তরবঙ্গের মোটরসাইকেল পার্টসের দাম অনেকাংশে কমে আসবে।’

বন্দর দিয়ে মোটরসাইকেল পার্টস আমদানি হলে বাড়বে দোকানের সংখ্যা সেই সাথে বাড়বে স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

এএম