চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয় দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। প্রধান এই সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি হওয়া সব পণ্যের শুল্কায়ন হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে। ফলে কিছু সময়ের জন্যও কাস্টম হাউসে কাজ বন্ধ থাকলে বিরূপ প্রভাব পড়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে। সাম্প্রতিক আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা, পরিবহন সংকটসহ নানা কারণে বন্দর ও কাস্টম হাউসের কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় বন্দরে পণ্য জট তৈরি হয়। সংকটে পড়ে আমদানি ও রপ্তানি।
এই ক্ষত না কাটতে সরকার পতনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও হামলার গুজবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। তাই ভয়ে গতকাল দুপুরে কর্মস্থল ত্যাগ করেন সবাই। এই প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম সচল রাখতে অভয় দিতে আসেন পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএমএ নেতারা। যে কোন সংকটে সবার্ত্মক সহযোগিতারও কথা বলেন। দেশের রিজার্ভ শক্তিশালী করতে, বন্দর ও কাস্টম হাউসসহ রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাক শিল্প সচল রাখতে হবে বলে জানান তারা।
বিজিএমইএ সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, 'নতুন সরকার গঠন হবে সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল থাকে সেই সহযোগিতা চাইতে এসেছি।'
সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে একটা সংকট রয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠতে হবে।'
এদিকে আজ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এই কর্মকর্তা। বলেন গেল কয়েকদিনের কর্ম ও রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সবাইকে অতিরিক্ত কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্মকমিশনার মো নাজিউর রহমান মিয়া বলেন, 'বিগত কয়েকদিনে বন্দরের কাজে যে বাধাগ্রস্থ হয়েছে তা এখন কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন বন্দর পুরোদমে চালু আছে।'
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ডেলিভারি পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ টিইইউএস কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে। এখনো ৪২ হাজার টিইইইউএসন কনটেইনারের স্তুপ জমে আছে।