ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট। লন্ডনে আয়োজিত বৈশ্বিক পর্যটক আকৃষ্টের এই মেলায় এবারও অংশ নিয়েছে বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশ। তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। সব দেশই নিজস্ব খাবার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্টের চেষ্টা চলে। এমনকি সরব অংশগ্রহণ ছিল বিভিন্ন দেশের বিমান সেবা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোরও।
বৈশ্বিক পর্যটন শিল্পের এই মেলায় বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এটিই সবচেয়ে বড় সুযোগ। যথাযথভাবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে লন্ডনে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতার প্রত্যাশা বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি প্রচারনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া আমাদের জাতীয় এয়ারলাইন্স থাকা সত্ত্বেও এখানে অংশগ্রহণ করলে ভালো হবে। আমি আশা করি আগামীতে বাংলাদেশ বিমান এতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ন্যাশনাল এয়ার ক্যারিয়ার ও ট্যুরিজম প্রচারণা যুক্ত হবে।’
এছাড়াও, দেশের স্বীকৃত জিআই পণ্যগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও বেশি করে তুলে ধরার তাগিদ অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পর্যটন খাত ব্যাপক সম্ভবনাময়ী হয়ে উঠবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।
বেঙ্গল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস মেহনাজ মান্নান চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাঁতি সম্প্রদায়সহ আমাদের দেশিয় আরো ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও সংস্কৃতি যদি আমরা এখানে উপস্থাপন করতে পারতাম তাহলে আরো বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা সম্ভব হতো।’
এ অবস্থায় সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে এই মেলায় অংশ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন এবারের অংশগ্রহণকারীরা।