অপরাধ ও আদালত
0

কুমিল্লায় পাসপোর্টে দালালের দৌরাত্ম্য কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

বন্যার পর কুমিল্লায় পাসপোর্ট অফিসে সেবাগ্রহীতাদের উপচেপড়া ভিড়। তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই অপেক্ষায় দুর্ভোগ বাড়ছেই। পাসপোর্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কুমিল্লায় আরও একটি পাসপোর্ট অফিস স্থাপন করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

তপ্ত রোদে সহস্রাধিক মানুষের অপেক্ষা কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস চত্বরে। ভোর থেকেই ভিড় করেন সেবাগ্রহীতারা। চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা সেবাকর্মীদের। বিরামহীন কাজ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের এই চিত্র প্রতিদিনের।

সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে একজন জানান, 'আমি আবেদন জমা দিছি। আমাকে বলে আবার এক সপ্তাহ পরে আসার জন্য। এই নিয়ে আমার ৪ বার আসা হয়েছে।'

সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে আরও একজন জানান, টাকা দিলে ভিতরে একজন পাঠায় দেয় আর না দিলে লাইনে দাঁড় করাই রাখে। এখন ৭০০ নম্বর সিরিয়াল এখনও এভাবেই যেতে হবে।

কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের প্রতিদিনের চিত্র অনেকটা এমনই। ছবি: এখন টিভি

৮টি বুথে দিনে ৪৮০ জনের তথ্য যাচাই ও ছবি তোলার সক্ষমতা থাকলেও প্রায় তিন থেকে চারগুণ বেশি মানুষ পাসপোর্টের তথ্য নিবন্ধন ও নবায়ন করতে আসেন। সকাল থেকে সিরিয়াল নম্বর নিতে ভিড় দীর্ঘ হতে থাকে গেটের বাইরেও। নারী শিশু বৃদ্ধরাও পাসপোর্ট নিবন্ধন করতে এসে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। যারা ফরম পূরনে ভুল করছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি। দালালের দৌরাত্ম্য কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ।

কুমিল্লায় ১৭ উপজেলায় প্রায় ৬৫লাখ মানুষের বসবাস। জেলার প্রায় ১৫লাখ মানুষ প্রবাসে বসবাস করেন। বিদেশে যেতে, হজ ও ট্যুরের জন্যও পাসপোর্টের চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে দেয়া তারিখ ও সময় অনুযায়ী সাক্ষাতের সময় মিলছেনা। মানা হচ্ছে না ক্যাটাগরি ভিত্তিক পাসপোর্ট তৈরির নির্দেশনাও। শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে কার্যক্রম, বললেন পাসপোর্ট কর্মকর্তারা।

কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মধুসূধন সরকার বলেন, 'সিডিউল সিস্টেমটাও চালু হয়েছে। এখন আপাতত আমরা সিডিউল আর ব্যাক লকটা তুলবো। আমরা আশা করি ১ সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চলে আসতে পারবো।'

কুমিল্লায় আরও একটি পাসপোর্ট অফিস করার সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনও।