ক্রমাগত দরপতনে লোকসানের মুখে বান্দরবানের রাবার শিল্প

বান্দরবানের রাবার শিল্প
বান্দরবানের রাবার শিল্প | ছবি: এখন টিভি
0

রাবার উৎপাদনে সুপরিচিত জেলা বান্দরবান। এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রাবার এর উৎপাদন হলেও সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে। তবে, ক্রমাগত দরপতনে দিন দিন এ শিল্পে আগ্রহ হারাচ্ছেন রাবার মালিকরা।

১৯৮৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানায় বান্দরবান জেলার সদর, লামা, নাইক্ষ্যংছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয় রাবার চাষ। শুরুতে রাবার উৎপাদনে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই লাভবান ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ছেন বাগান মালিকরা।

বর্তমানে উৎপাদন খরচের সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে উঠছেন না ব্যবসায়ীরা। একসময় যে রাবার কেজিতে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতো এখন তার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এছাড়াও, রাবার উৎপাদনে আগের তুলনায় বাড়তি খরচের হিসেবে লাভের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

রাবার ব্যবসায়ীরা জানান, এক সময় একেক রকম দাম থাকার কারণে তারা কখনও ন্যায্যমূল্য পায়নি। ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেটের কারণে রাবারের দাম কখনও স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তারা।

আরও পড়ুন:

এদিকে, রাবার ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন রাবার শিল্পকে বাঁচাতে এবং রাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান বাইশারী রাবার বাগান মালিক সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ রফিক বশরী বলেন, ‘রাবারের দাম ঠিক রাখার জন্য সরকার ও ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাবার শিল্পকে ডেভেলপ করতে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।’

জেলা প্রশাসকও রাবার শিল্প থমকে যাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্রুত সময়ে রাবার শিল্পকে এগিয়ে নিতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘আমরা তাদের লাইসেন্সের নবায়ন করতে পারছি না। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসলে আমরা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নেই প্রায় ১৬ হাজার রাবার বাগান রয়েছে যেখানে কাজ করে কয়েক হাজার শ্রমিক। আর সরকার প্রতিবছর এই বাগানগুলো থেকে পাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।

এফএস