ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ নিশ্চিত, ছাত্রদল কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হবার কথা স্বীকার, ভিসি-প্রোভিসির পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৮০ শিক্ষার্থী।
রোববার দুপুরে তারা বাসযোগে ঢাকা আসেন। অসন্তোষ জানান, আশ্বাসের পরও কোনো দাবি দাওয়া মানা হয়নি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনায় স্মারকলিপি দিতে যান। প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদের কাছে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা।
ঘণ্টাখানেক পরে শহীদ মিনারে ফিরে ব্রিফিং এ শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িতদের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা ভাবিনি এখানে আমাদের আশা লাগবে। তারপরও যেহেতু আমাদের ক্যাম্পাস নিরাপদ না ক্যাম্পাস রক্ষার্থে আমাদের আবারো আসতে হয়েছে। যেহেতু ওনারা আশ্বস্ত করেছেন আমাদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করা হবে এবং অতি শিগগিরই রেসপন্স করা হবে তাই রাষ্ট্রকে আমরা একটু সময় দিতে চাই।’
প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানায়ে, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে অধ্যাদেশ জারির আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।