জেলা প্রশাসক বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের করা সংবাদগুলো আমি সুশাসন ও নানা অভিযানে কাজে লাগিয়েছি। তাদের তথ্যের মাধ্যমে অনেক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করছি আগামীতেও গঠনমূলক লেখনীর মাধ্যমে আমাদের কাজে সহযোগিতা করবেন সাংবাদিকরা।’
ঢাকার এই জেলা প্রশাসক তার কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, এর ভিতর দ্রব্যমূল্য হ্রাস করাসহ ঢাকার বিভিন্ন খাস জমিতে জনতার বাজার হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। চাইলেই যেন কোনো সিন্ডিকেট পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে। আমরা ঢাকার ২১টা খাল উদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বাউনিয়া খালের মাধ্যমে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। সাংবাদিক সমাজ ভালো কাজে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখবে এ প্রত্যাশা করছি।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই আদালত পাড়ায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি বেড়েছে। সে সময় দেখেছি বসার জায়গা না থাকায় সাংবাদিকরা সারাদিন গাছতলায় অতিবাহিত করতেন। নিরপেক্ষতার জন্য কখনো কোনো আইনজীবীদের থেকে সুবিধা নিতেন না। তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোর্টে কি হচ্ছে তা জাতির সামনে তুলে ধরেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সাংবাদিকদের মাধ্যমে রাষ্ট্রে বার্তা যায়। ছাত্র আন্দোলনেও সাংবাদিকদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফ্যাসিস্ট আসামীদের আদালতে আনা হলে সাংবাদিকরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরছেন। কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাদের রুমের স্পেস বড় করাসহ অফিসের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় দেখবেন বলে প্রত্যাশা রাখছি।
সংগঠনের সদ্য বিদায়ী সভাপতি হাসিব বিন শহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রশিদ মোল্লা, পুলিশের অপরাধ ও প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি নাসির উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার লিটন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন খানসহ নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরা।