দেশে এখন
0

বাঁশের ঝুড়ি তৈরি কারিগরদের বাজার সম্প্রসারণ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবি

শত বছরের বেশি সময় ধরে বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি বানানো হয় ফরিদপুরের মল্লিকপাড়ায়। শতাধিক পরিবারের সংসার চলে এই কাজ করেই। তবে ভালো দাম না পাওয়ায় হতাশ কারিগররা। তাদের দাবি বাজার সম্প্রসারণ আর ন্যায্যমূল্য পেলে লাঘব হবে অর্থনৈতিক দৈন্যতা।

ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর মল্লিকপাড়া গ্রামের সব পরিবারই ঝুড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত। যুগের পর যুগ ধরে তারা এই কাজ করছে। বাড়ির সব বয়সী মানুষই দিনভর এই কাজ করেন। ঝুড়িগুলো ভালো মানের হওয়ায় চাহিদাও বেশি। বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এ গ্রামে এসে চাহিদা মতো ঝুড়ি কিনে নিয়ে যান বিক্রির জন্য।

ঝুড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ‘তল্লা বাঁশ’। প্রতিটি বাঁশের দর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। একটি বাঁশ দিয়ে দুই থেকে চারটি ঝুড়ি তৈরি হয়। আকারভেদে প্রতিটি ঝুড়ি ৯০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। কারিগররা বলছেন, কাঁচামালের দাম বাড়লেও বাড়েনি ঝুড়ির দাম। উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ দাম না পাওয়ায় হতাশ তারা।

তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সব ধরনের সহায়তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে বিসিক।

বিসিক ফরিদপুরের উপ-মহাব্যবস্থাপক মানছুরুল করিম বলেন, ‘আমরা উদ্যোক্তা চিহ্নিত করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং পণ্য বাজারজাতকরণে সাহায্য করে থাকি। এর সঙ্গে যারা আমাদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদেরকে আমরা বিসিকের নিজস্ব ফান্ড এবং বিভিন্ন ব্যাংককের মাধ্যমে ঋণ নেয়ার সহযোগিতাও করে থাকি।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবস্থা বিবেচনায় ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে এবং প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে বাঁশের ঝুড়ির ব্যবহার বাড়ানো গেলে উপকৃত হবেন কারিগররা।

এএম