দেখে বোঝার উপায় নেই যে ঘরগুলো ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামে আলতাফ হোসেনের তিনটি ঘরে এভাবেই বসেছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত এখানকার ৩৭টি ঘরের ৬টিই দখলে রেখেছে তার পরিবার।
উপজেলার তালিকায় আলতাফের নিজের নামে না থাকলেও দুই স্ত্রীর নামে নিয়েছেন দুটি ঘর। এরমধ্যে ছোট স্ত্রীকে দেখিয়েছেন স্বামী পরিত্যাক্তা হিসেবে। আর শ্যালিকা, দুই পুত্রবধূ ও ভাতিজার স্ত্রীর নামে নিয়েছেন আরও চারটি ঘর। তবে, আলতাফের দাবি, ওই জমিতে আগে থেকেই তাদের ঘর থাকায় তার পরিবারের অনুকূলে ছয়টি ঘর দিয়েছে সরকার। আর এসি লাগিয়েছে তার ছেলেরা।
আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ডিসি ও ইউওনো অফিসে চেয়ারম্যান বাঁচার জন্য এইসব করেছে।’
আলতাফ হোসেনের স্ত্রী বলেন, ‘ঘরটাতে শুধু আমরা রঙ আর গ্রিল লাগিয়েছি।’ তার সন্তান বলেন, ‘মাসিক কিস্তিতে এসি নিয়েছি।’
এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকল্পের সব কাজ হয় আলতাফের ইচ্ছায়। ক্ষমতার দাপটে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেন স্থানীয়দের উপর।
হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রজ্জাক বলেন, ‘কোনো নিয়মে সে ঘর পেলেন আর কারা এর দায়িত্বে ছিল তারাই বলতে পারবে।’
এমন বাস্তবতায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় প্রশাসন।
যশোরের সহকারী কমিশনার নিয়াজ মাখদুম বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখবো সে কি ঘর পাওয়ার যোগ্য কিনা সেটা প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে সদর উপজেলার সিরাজসিংঙ্গা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোও বেহাল। একটু বৃষ্টিতেই ওঠে পানি। রয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ। এমন অবস্থায় বরাদ্দের ঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।