পরিবেশ ও জলবায়ু , উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে কানাডা

যতদূর চোখ যাবে, কেবল বরফ আর বরফ। রেকর্ড তুষারপাতে ঢাকা কানাডার পূর্বাঞ্চল। অন্যদিকে মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের আধিক্য অবাক করা হলেও কম। সবই জলবায়ু পরিবর্তনের খেল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

একটা সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুধু অনুন্নত আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এখন তা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো উন্নত দেশেরগুলোরও মাথাব্যথা। কানাডা পরিবেশরক্ষায় মার্কিন সরকার থেকে বেশি সচেষ্ট, তবুও মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

শীতকালে একই দেশে দেখা মিলছে, ভিন্ন ভিন্ন আবহাওয়া। যা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়, বলছেন বাসিন্দারা। কারণ প্রাণ-প্রকৃতির এই দৈন্য দশায় তাদের ভুগতে হচ্ছে সব থেকে বেশি।

দেশটির আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মেহেদি হাসান রবিন বলেন, 'এক- দুইবছর বাদে বাদে বিভিন্ন রকমের দুর্যোগ আসবে যা কিনা খুব অস্বাভাবিক এখানকার লোকেশন বা ওয়েদার অনুযায়ী। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে এবং সামনে আরও ভয়াবহ অবস্থার আশঙ্কা রয়েছে।'

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা গড়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে। ১৯৪৮ সালে প্রথম কানাডায় জাতীয় পর্যায়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। এরপর থেকে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর উত্তরাঞ্চলে তা ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। এতে তুষারপাত ও সামুদ্রিক বরফ কমে যাচ্ছে। সৌর বিকিরণ শোষণ বাড়ছে এবং ভূপৃষ্ঠ আরও গরম হচ্ছে। যার খেসারত শুধু কানাডাকেই দিতে হবে তা নয়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ভূমি ডুবে যাওয়ার প্রবল শঙ্কা রয়েছে।

ইএ