নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেন তারা সবাই রাজনীতিবিদ নন। ২০১৮ সালে ইসিতে আওয়ামী লীগের ২৩০ এমপির মধ্যে পেশা হিসেবে মাত্র ৭২ জন রাজনীতি উল্লেখ করেছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৬ জনই ব্যবসায়ী ছিলেন।
এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে ২৯৮ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। বিভিন্ন বিভাগের প্রার্থীদের পেশা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবারও বিভিন্ন আসন থেকে যারা নৌকা নিয়ে লড়বেন তাদের অন্তত ৬০ ভাগ ব্যবসায়ী। এই তালিকায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক কর্মকর্তা, শিক্ষক এমনকি সাংবাদিকও আছেন।
জামালপুর-৫ আসন থেকে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সব শ্রেণি পেশার মানুষ রাজনীতিতে আসলে সংসদ সমৃদ্ধ হবে। আইনের ছাত্র ও সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমি আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারবো। এতে করে আরও ভালো একটি আইন প্রণয়ন সম্ভব বলে মনে করি।
সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। তিনি বলেন, আমি কর্মজীবনে যেভাবে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি, সেভাবে রাজনীতিতেও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো। আর এর মাধ্যমে আমার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে পারবো।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় আছেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, তারকা ও খেলোয়াড়। ছবি: এখন টিভি
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিন্ন পেশাজীবীদের রাজনীতিতে ভালো করার নজির রয়েছে।
এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকার অন্যতম আকর্ষণ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। চিত্রনায়ক ফেরদৌসসহ নতুন-পুরনো কয়েকজন শিল্পী ও অভিনেতাও মনোনয়ন পেয়েছেন। এখন দেখার বিষয় রাজনীতির মাঠে কিংবা গণমানুষের সেবায় তারা কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারেন।