সকালে উঠে যারা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছিলেন। বাংলাদেশের স্কোর বোর্ড দেখে নিশ্চয় ছানাবড়া হয়েছিলো। হবেই তো। ৩০ রান তুলতেই নেই তানজিদ, লিটন, শান্ত হৃদয়ের মতো চার চার তুখর ব্যাটার।
চোখ ঝাপসা দেখার সাথে মাহমুদুল্লাহ'র এমন রান আউটে আর সাকিবের উইকেট দিয়ে আসার পর বাংলাদেশের সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরাই স্বাভাবিক।
যে নেপালের সমতল ভূমির অভাবে ক্রিকেট স্টেডিয়াম মোটে একটা। খেলার মাঠের অভাব। পাহাড়ি দেশটি অতি কষ্টে ক্রিকেট খেলে বিশ্বকাপ মঞ্চে। সেই তারাই দক্ষিণ আফ্রিকার পর এলিট ক্রিকেটে দুই যুগ হওয়া বাংলাদেশকে ব্যাটিং পাঠিয়ে নাকানিচুবানি খাইয়েছে।
ঈদের খুশি সকলের ম্ল্যান হতো যদি না দুই টেল এন্ড তাসকিন রিশাদের ক'টা বাউন্ডারি হাঁকাতেন। বাংলাদেশ কোন মতে একশ' পার করে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির কোন সহযোগী দেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর টাইগারদের।
১০৬ রানের পুঁজি। এই রানে ম্যাচ জেতা যায়! লাখো প্রশ্ন বাংলাদেশি সমর্থকদের হৃদয়ে। কিন্তু, বিশ্বকাপজুড়ে তাসকিন তানজিম মুস্তাফিজদের পেস আগুনে প্রতিপক্ষ যেভাবে দগ্ধ আর বাংলাদেশ মুগ্ধ হচ্ছিলো এই ভেবে যে, তাদের পেসারদের ওপর বাজি রাখাই যায়।
সেই স্বপ্ন জয়ের পথে তানজিম সাকিবের প্রতাপে বোলিংয়ের নেপালের ব্যাটাররা চোখে শর্ষে ফুল দেখছিলো। সাকিবের গতি সুইং আর আন ইভেন বাউন্ডে দিশেহারা নেপালের টপ ও মিডল অর্ডার।
বিশ্বেকাপে এখন পর্যন্ত তানজিম সাকিব একমাত্র বোলার হিসেবে টানা চার ওভার করেন। ২১টি বট বল দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান।
কিন্তু, বাংলাদেশের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মাল্রঅ ও দিপ্রেনন্দ্রর সিং। তবে, শান্ত'র দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে মুস্তাফিজে রক্ষা।
তারপরই ম্যাচ পেন্ডুলামের মতোই ঝুলছিলো। ১২ বলে ২২ রান। শান্ত'র আস্থা মুস্তাফিজে। ১৯তম ওভার কোন রান দিয়ে মেডইন উইকেট। বাকি কাজটা করেন সাকিব আল হাসান। আর তাতেই কিংসটাউন থেকে ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের মানচিত্রে ঈদ আনন্দ হয় দ্বিগুণ।