ভোর থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ট্রাক, ভটভটিসহ নানা যানবাহনে আসা মাছে ভর্তি মেলা প্রাঙ্গণ। সূর্য উঠার সাথে সাথেই আগত দর্শনার্থী, ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর। কে কত বড় মাছ কিনতে পারে এর প্রতিযোগিতা চলে ক্রেতাদের মধ্যে। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের মাছ কিনে বাড়ি ফেরেন ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা জানান, 'শ্বশুর বাড়িতে যাবো বলে নবান্ন উপলক্ষে মাছ কিনেছি। আগের বছরের তুলনায় এবার মাছের দাম বেশি।'
মেলাতে মাছ ছাড়াও রয়েছে মিষ্টি মিঠাই ও জমি থেকে সদ্য উঠানো সবজি বেচাকেনা হয়। ক্রেতা সমাগম আর বেচাকেনায় সন্তুষ্ট বিক্রেতারাও।
একজন মাছ বিক্রেতা বলেন, 'আমার দোকানে পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আছে। বেচাকেনাও ভালো, অনেক জায়গা থেকে মানুষ এসে এখান থেকে কিনে নিয়ে যায়।'
মেলা উপলক্ষে স্থানীয়রা আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করেন। বিশেষ করে জামাই-মেয়ে বাদ যান না। নানা বয়সীরা আসেন মেলায়। কেনাকাটার পাশাপাশি বিনোদনে মেতে থাকেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, '৫০০ থেকে ৬০০ বছর আগের মেলা এটি। মাছের সাথে এখানে নতুন আলু ও সব নতুন তরিতরকারি পাওয়া যায়।'
প্রায় ৩শ বছরের পুরানো এ মেলার ঐতিহ্য বজায় রাখতে ব্যবস্থাপনার সবকিছু তদারকি করছে মেলা কর্তৃপক্ষ। একদিনের এ মেলার রেশ থাকে তিনদিন পর্যন্ত।
সর্বজনীন নবান্নের এ জামাই মেলায় প্রজাতি ও আকারভেদে ২শ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে মাছ বিক্রি হয়। প্রায় ৩ কোটি টাকার মাছসহ অন্যান্য পণ্যের বেচাকেনার আশা মেলা কর্তৃপক্ষের।