রিটে করা অন্য দলগুলো হলো রিটে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপি জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল,সাম্যবাদী দল (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুনানির জন্য মঙ্গলবার হাইকোর্টে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে৷
এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
এর আগে আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দিবে না সে বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
সেইসঙ্গে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে আরেকটি রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে। সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই দুই ছাত্রনেতার পক্ষে দুটি রিট করা হয়েছে। তাদের পক্ষে রিটের শুনানি করবেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম।
এর আগে গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।