আজ (রোববার, ১৮ আগস্ট) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবার ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কূটনীতিকরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আসতে থাকেন।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ব্রিফিং রুমে আসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ব্রিফিং। যেখানে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের অর্ধশত মিশন প্রতিনিধি। প্রথমবার বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার ত্যাগের কথা জানান। এরপর বলেন, ‘অপার সম্ভাবনার এই দেশ দুর্নীতির জন্য সামনে এগোতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার সামনে আগানোর যাত্রা শুরু করতে চায়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী মনোভাব দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধংস করে দিয়েছে।’
এমন অবস্থায় বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন তিনি। নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ জানান, রাষ্ট্র সংস্কার করেই একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিবে তার সরকার। প্রায় মিনিট বিশেকের ব্রিফিংয়ে তিনি নতুন সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করাই এখন প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘ছাত্রদের উপর গণহত্যার নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত চায় বর্তমান সরকার। তাই স্বাধীন তদন্তে জাতিসংঘকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়া হবে।’
ব্রিফিং শেষে প্রেস সচিব শফিকুল আলমও গণমাধ্যমে এসব কথা তুলে ধরেন।
এসময় তিনি দেশের অর্থনৈতিক সংকটে দূর করতে ক্ষুদ্র অর্থনীতি নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে দেশে ফিরতে পারে সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান। চলমান পরিস্থিতিতে পোশাক খাতে যেন বিরুপ প্রভাব না পরে সেই ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখার কথা জানান প্রেস সচিব।