সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লাগাতার কর্মসূচি একদিকে যেমন ভয়কে জয় করেছে, তেমনি দেখিয়েছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। এই আন্দোলন ঘিরে সোচ্চার ছিলেন দেশের সৃষ্টিশীল মানুষরা, যারা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন নিজের মতের শৈল্পিক প্রকাশে।
স্বাধীন মত প্রকাশের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম কার্টুন। বাংলাদেশে ব্যঙ্গাত্মক রাজনৈতিক কার্টুনের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। একসময় দেশের সংবাদপত্রগুলোয় নিয়মিত কার্টুন ছাপা হতো। তবে পাঠক আগ্রহের কেন্দ্রে থাকার পরও রাজনৈতিক কারণে একটা সময় কার্টুন ছাপা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় সংবাদপত্রে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে এবার কার্টুন প্রদর্শনী করেছে দৃক গ্যালারি। রাজধানীর পান্থপথের দৃক গ্যালারিতে আজ (শুক্রবার, ১৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় 'কার্টুনে বিদ্রোহ' প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করা হয়।
প্রদর্শনীতে ডিজিটাল মাধ্যমে আঁকা রাজনৈতিক কার্টুন, শহরের দেয়ালে দেয়ালে তারুণ্যের ঝংকার তুলে ছড়িয়ে পড়া গ্রাফিতি, সংবাদপত্রের জন্য আঁকা বিখ্যাত শিল্পীদের কার্টুনে যোগ দিয়েছেন নবীনরাও। কার্টুনিস্টরা বলছেন, ভয়কে জয় করলে, মত প্রকাশে অসংকোচ হয়ে উঠলে কার্টুন কেমন জ্বলে উঠতে পারে তারই উদাহরণ কার্টুনে বিদ্রোহ।
কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় বলেন, 'এখন যখন নতুন করে শুরু হয়েছে তাই আবার নতুন করে সবাই কার্টুন আকঁবে। আবার খবরের কাগজের প্রথম পাতায় কার্টুন দেখবো।'
কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের তরুণরা অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
প্রদর্শনী দেখতে ভিড় জমান কার্টুন প্রিয় দর্শনার্থীরা। বলেন, এরকম প্রদর্শনী ভাবতে শেখাবে মুখ খুলতে।
দর্শনার্থীদের একজন বলেন, 'এখানে এসে আমি কার্টুনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পুরো রুপটা দেখতে পাচ্ছি। কার্টুনের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে।'
আরেকজন বলেন, 'আমাদের যে ভাষা আছে তা আমরা কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরি।'
বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ব্যঙ্গাত্মক অনলাইন সাময়িকী ইআরকি এবং দৃকের আয়োজনে ৮ দিনের প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।