রাজধানীর নিউমার্কেট মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মাঝে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে যেতে বাধা দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাবের দিকে অগ্রসর হয়।
চট্টগ্রামের টাইগারপাসে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে টাইগারপাস থেকে মিছিল নিয়ে ২নং গেট যাচ্ছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের বাধা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনের নামে অনৈতিক কাজ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মত কোন কাজ করলে পুলিশ বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা আমরা শুনবো, কিন্তু কয়েকটি দিন ধরে এই শোনারও সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে।’
আদালতের নির্দেশনার পরও আন্দোলন কেন- প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেটা চেয়েছেন আদালতের নির্দেশনা সেদিকেই যাচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে তাদের রাস্তায় অবস্থান করার প্রয়োজন নেই।
সরকার শিক্ষার্থীদের দাবিতে ব্যাপারে সচেতন, আদালতের মাধ্যমে সুরাহা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাস্তায় কষ্ট না করে শিক্ষার্থীদের আদালতে যাবার পরামর্শ তার।
তিনি বলেন, ‘এমন আন্দোলনে ঘোলা পানিতে শিকার করার লোকের অভাব হয় না, এরই মধ্যে সুযোগ সন্ধানীরা কাজ শুরু করেছেন।’