ছবি দেখে মনে হতে পারে এটি ট্যাং, হারপিক, বোম্বে চানাচুর বা সার্ফ এক্সেল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই এ বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ইফতারে শরবত তৈরির ট্যাংয়ের মত দেখতে প্যাকেটের গায়ে লেখা তরঙ্গ, সার্ফ এক্সেলের নাম সুপার এক্সেল।
অন্যদিকে হারপিকের মতো হুবহু দেখতে এ পণ্যের নাম গ্রামীণ। এ রকম প্রায় ১৬ রকমের নকল পণ্যের কারখানাটির অবস্থান পূর্ব বাড্ডার আলিফ টাওয়ারে।
অভিযানের ভয়ে প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর আবিদ ফুড নামের কারখানাটি আবারও চালু হয়। লক্ষ্য রমজান মাস। কারণ এ মাসে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অনেকেই খরচ বাঁচাতে না জেনেই এসব পণ্য ক্রয় করছে। কারখানায় গিয়ে দেখা যায় টয়লেট্রিস পণ্যের কেমিক্যালের পাশেই তৈরি হচ্ছে ট্যাং বা চানাচুর। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই অভিযান চালালে এসব দৃশ্যই ধরা পড়ে।
এদিকে কেন এসব পণ্য তৈরি করছেন তিনি এমন প্রশ্নে কারখানা মালিক স্বীকার করেন তার ভুলের কথা। বলেন, 'ডিটারজেন্ট ও চিপসের অনুমোদন আছে। কিন্তু ড্রিংকসের কোন অনুমোদন নাই। এটা আমি স্বীকার করছি।'
অভিযান শেষে ভ্রাম্যমান আদালত ১ লাখ টাকা কারখানাটিকে জরিমানা করে। এছাড়াও কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
বিএসটিআই'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তফা বলেন, 'তারা জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্যান্ডগুলোকে নকল করে মোড়ক ডিজাইন করেছে, বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়া। আমরা এ অপরাধ আমলে নিয়ে দুটি আইনে তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।'
এছাড়াও কারখানায় তৈরি সকল পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়।