দেশে এখন
0

ব্যাটারিচালিত বাহনের বেপরোয়া গতি, যত্রতত্র পার্কিংয়ে ভোগান্তি

সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি পটুয়াখালী। যেন সাজানো-গোছানো শহরের প্রতিচ্ছবি। অল্পকিছু গল্প বাদ দিলে এই শহর এখন শুধুই হতাশার।

রূপসী বাংলার সর্বদক্ষিণে সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালী। যে শহরে সকাল হয় সাদা বকের কোলাহলে। পাখিদের অবিরাম আলাপনে কাটে সারা বেলা। সম্প্রতি নগর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর নাগরিকদের অসচেতনায় হারিয়ে যেতে বসেছে শহরের সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

ছোট্ট এই শহরে মানুষের তুলনায় বেড়েছে রিকশা, ইজিবাইক, অটোবাইক, টমটম, নসিমন, করিমনের মতো অসংখ্য তিন চাকার বাহন। আর এসব গাড়ি কোনো নিয়মনীতি না মেনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নগরজুড়ে। এরইমধ্যে দখলে চলে গেছে অপ্রশস্ত সড়কগুলো।

শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নতুন নতুন গাড়ি। রিকশার গ্যারেজে চলছে গাড়ি নির্মাণের আয়োজন।

পৌরসভার তথ্যমতে, শহরে ১ হাজার ৮০০ গাড়ির নিবন্ধন থাকলেও চলছে প্রায় ১৫ হাজার গাড়ি। সড়কে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা। অন্যদিকে এসব গাড়ির হাইড্রলিক শব্দ দূষণের প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর।

স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এই শহর যানজটমুক্ত থাকুক। শহর থেকে অবৈধ অটোরিকশা অপসারণ করা উচিৎ।’

পদ্মা সেতু চালুর পর মহাসড়কে বাড়ছে পরিবহন। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে ব্যাটারিচালিত বাহন তুলে দেয়ার দাবি জেলা মালিক সমিতির।

পটুয়াখালী জেলা বাস মিনি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘বর্তমানে সড়কে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে তা ইজিবাইক, অটোবাইক, টমটম, নসিমন, করিমনের কারণে। এসব পরিবহন মহাসড়ক থেকে তুলে নেয়া উচিৎ বলে মনে করি।’

সড়কে অবৈধ পরিবহন, অটোবাইক ও অটোরিকশাসহ তিন চাকার বাহন বন্ধ করা ও নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস পৌর মেয়র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘খুব শিগগিরই অভিযান চালানো হবে অবৈধ পরিবহনের বিরুদ্ধে। এছাড়া তাদের কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায় সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাইনুল হাসান বলেন, ‘সড়কের অবৈধ যানবাহন বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান ও জরিমানা করছি।’

দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে শহরে সব অবৈধ বাহন বন্ধ করলে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন নগরবাসী, কমবে দুর্ঘটনা এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।