অর্থনীতি
দেশে এখন
0

নড়াইলে ইকোনমিক জোনের অনুমোদন পেলেও প্রকল্পে ধীরগতি

চার বছরেও কাজ শুরু হয়নি। এই প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পরই খুলে দেয়া হয় দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতু। যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে, নড়াইলের সঙ্গে মোংলা বন্দর, বেনাপোল ও সাতক্ষীরা স্থলবন্দর, রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ তৈরি করেছে। এরইমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিলেও এখনও তার কাজ শুরু হয়নি।

স্থানীয়রা বলেন, জেলায় একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আমরা অনেকদিন ধরে শুনছি কাজ শুরু হবে, কিন্তু আশানুরূপ কিছু দেখছি না।

লোহাগড়া উপজেলার মধুমতির তীরে প্রকল্পের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে কালনা ও মশিয়াপাড়ায় ১৫৮ একর জমিতে জোন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠায় জেলা প্রশাসন। জমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্য ব্যয় দাঁড়ায় আড়াই হাজার কোটি টাকায়। ২০২২ সালের প্রথম দিকে প্রাথমিক সমীক্ষা হয় কিন্তু এরপর আর কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।

দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ থেকে কোন সাড়া মেলেনি। অগ্রগতি জানতে বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যানের দপ্তরে চিঠি পাঠালেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ইকোনমিক জোনটি হলে বেনাপোলের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবো।’

নড়াইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. হাসানউজ্জামান বলেন, এই ইকোনমিক জোন নির্মিত হলে জেলায় অনেক শিল্প-কারখানা হবে। এর মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি জীবনমানও উন্নত হবে।

১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে নড়াইল মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৮৪ সালে নড়াইল মহকুমা জেলায় রূপান্তর হয়। জেলার জনসংখ্যা ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৩ জন।