চলতি মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে নাটোরের দুই সুগার মিলে আখ মাড়াই। তাইতো আখ সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারখানার শ্রমিকরা। এ বছর আখের সরবরাহ বাড়লে বেশি চিনি উৎপাদন করে মুনাফার আশা কর্তৃপক্ষের।
শুক্রবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করবে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস। আর আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে উৎপাদনে যাবে নাটোর সুগার মিল। কারখানায় কর্মচাঞ্চল্য ফেরায় খুশি শ্রমিকরা।
চলতি মৌসুমে মণ প্রতি আখের দাম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। এতে আখের আবাদ ৬০ শতাংশ বাড়লেও সময় মতো সার ও বীজ না পাওয়ার অভিযোগ চাষিদের। এ অবস্থায় আখের দাম ৩০০ টাকা করার দাবি তাদের।
গেল কয়েক মৌসুম ধরেই আখ সংকটে লোকসান গুনছে সুগার মিলস দুটি। এ বছর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সক্ষমতা বাড়িয়ে ২ লাখ টন আখ মাড়াই করে ১৫ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর ৯০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৫ হাজার ৯৫০ টন চিনি উৎপাদনের আশা করছে নাটোর সুগার মিল কর্তৃপক্ষের।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নাটোর সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ উদ্দিন হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘চিনি আহরণের মাধ্যমে আমরা এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব। আশা করছি ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে মিলটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।’
আখের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি মিল আধুনিকায়ন এবং বাই প্রোডাক্ট তৈরির ওপর জোর দেওয়া হলে লোকসানের গ্যাঁড়াকল থেকে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন মিল কর্তৃপক্ষ ও চাষীরা।