চলতি বছর ৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের কুমড়া উৎপাদন হয়েছে এই জেলায়। খেত থেকে কুমড়া কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা ভিড় করেন এখানে। এছাড়া কুমড়া বিক্রির জন্য রয়েছে হাটও। এবছর কুমড়ার বাম্পার ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। প্রতি কেজি কুমড়া খেতেই বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
প্রতি বিঘা জমিতে কুমড়া আবাদে খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। এর মধ্য দিয়ে চরের মানুষের অর্থনৈতিক ও জীবনমানের উন্নয়ন হচ্ছে।
চাষিরা বলেন, 'আমরা গাড়িতে করে বিক্রি করি। কেউ মণ হিসেবেও বিক্রি করে আবার ক্ষেত ধরেও বিক্রি করে দেয়।'
আরেকজন বলেন, 'এক হাজার ৫০০ টাকার কুমড়ার বীজ লাগে আর অল্প কিছু সারের খরচ লাগে। এতে কুমড়ার ফলন ভালো এবং বিক্রি অনেক হচ্ছে। আমরা ৬০-৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করি।'
গত কয়েক বছর ধরে অনাবাদি জমি চাষের উপযোগী করে তুলেছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। এছাড়া পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানান ফরিদপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম।
বলেন, জমি অনাবাদি হিসেবে পড়েছিল। কুষক এখন সেখানে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করছে। কুমড়া আবাদ করে তারা একটা ভালো মূল্য পাচ্ছে। কুমড়া চাহিদা এখন ভালো। পদ্মাসেতু হওয়ার ফলে কুমড়া এখন সহজেই ঢাকাতে পাঠানো যাচ্ছে।'
ফরিদপুরে এ বছর কুমড়ার চাষাবাদ হয়েছে ৮৫০ হেক্টর জমিতে।