দেশে এখন
0

সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর মৃত্যুতে রাজনীতিবিদদের শোক

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা।

আজ (শনিবার, ৫ অক্টোবর) ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজার দুই দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল (রোববার) নিজ জেলা মুন্সিগঞ্জে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে এবং পারিবারিক কবরস্থানে দাফ। একাধিকবারের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং উপ প্রধানমন্ত্রী বি. চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন ছিল বর্ণাঢ্যময়।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নামকরা রাজনীতিবিদ ও যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী সন্তান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শেষে উচ্চতর ডিগ্রি নিলেন যুক্তরাজ্য থেকে। দেশে ফিরে করেছেন মানবসেবা। পরিচিত ছিলেন খ্যাতিমান চিকিৎসক হিসেবে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান খ্যাতিমান এই চিকিৎসককে রাজনীতিতে যুক্ত করেন ১৯৭৮ সালে। নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রথম মহাসচিব।

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ছিলেন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। জিয়াউর রহমানের সরকারে উপপ্রধানমন্ত্রী ও সংসদে উপনেতা ছিলেন বি. চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়।

বিএনপির সাথে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০০৪ সালের ৮ মে ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। দলটির সভাপতি ছিলেন তিনি।

বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কোনো একটা দলের রাষ্ট্রপতি না, তিনি ছিলেন জনগণের রাষ্ট্রপতি। এই দৃষ্টান্ত উনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি জনগণকে যেভাবে ভালোবাসতেন, জনগণের কথা চিন্তা করতেন, সত্যিকার অর্থে জনদরদী মানুষ ছিলেন।’

বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছেলে মাহি বি চৌধুরী বলেন, ‘উনার চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারেও ডাক্তারদের অনেক সতর্ক থাকতে হয়েছে। কারণ তার কিছু রেস্ট্রিকশন ছিল।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে প্রবীণ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরীর শূন্যতা অপূরণীয় বলে মন্তব্য করেন তার প্রতিষ্ঠিত দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা।

ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গেল ২ অক্টোবর সকালে বি চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর