এর আগে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্থানীয় রাজার মাঠে এসে জড়ো হন পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে শতাধিক পাহাড়ি শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশে মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি অংশৈসিং মারমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিটন তঞ্চঙ্গ্যা, টনায়া ম্রো, জন ত্রিপুরা, মাখাই মারমা, অনন্ত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দীঘিনালায় চোর অভিযোগে বাঙালি ভাই মামুনের হত্যাকারীদের খোঁজে আইনের আওতায় আনা হোক। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা মিলেমিশে থাকতে চাই। কিন্তু বাঙালি হত্যার অভিযোগে পাহাড়িদের দোকান-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
কেন পাহাড়িদের ওপরে হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, ‘আমাদেরও স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা না হয় তাহলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তারা জানান, পাহাড়ি-বাঙালি বিভেদ তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না। পাহাড়ের ছাত্রসমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবে না। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান বক্তারা।