গাছে গাছে সুমিষ্ট ফল। নানা জাতের, নানা বর্ণের, নানা দামের। চেরি কিংবা রঙ্গন ফুলে ফুলে মৌমাছিদের আনাগোনায় মৌ মৌ করছে বৃক্ষ মেলা। আর পছন্দসই গাছ খুঁজে ফিরছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।
দর্শনার্থীদের একজন বলেন, 'ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এখন আমাদের এখানে সবুজ গাছপালা লাগাতে হবে।'
অনেকেই এসেছেন পরিবার নিয়ে। সন্তানকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন গাছের সাথে।
আরেকজন দর্শনার্থী বলেন, 'আমারা বাসায় বারান্দায় ছোট একটা বাগান আছে, ইনডোর প্ল্যান্টও আছে। বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় এসেছি।'
ফলজ গাছের মধ্যে দেখা মিলছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, ডুমুর, খেজুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ফল। আছে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ফল গাছ। গাছের সাথে দেখা মিলে ফলেরও।
মেলায় স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে বনজ গাছ। রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছও। আছে ক্যাকটাস, পাতাবাহারসহ বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট। তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে বনসাই ঘিরে। একেকটির দাম ২০ হাজার থেকে শুরু করে ঠেকেছে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।
বিক্রেতাদেরে কজন বলেন, 'আগের বছরের তুলনায় এবার অনেক গাছ বিক্রি হচ্ছে। এবার দর্শনার্থীও বেশি।'
শুধু গাছ নয় মেলায় উন্নত জাতের বীজসহ দেখা মিলছে নানা উদ্ভাবনী কৃষিপণ্যের।
কে পি এম কর্পোরেশনের কর্নধার হুমায়ুন কবির বলেন, 'কেমিক্যাল ছাড়া শুধু পানি দিয়ে সবজি চাষ করা যাবে।'
বৃক্ষমেলায় দিনে প্রায় এক লাখ করে চারা বিক্রি হচ্ছে। আর একমাসে বিক্রি হয়েছে অন্তত ১৩ কোটি মূল্যের ২৬ লাখ চারা।
ঢাকা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদা রোকসেনা সুলতানা বলেন, '৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গাছ লাগানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।'
শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে এই মেলা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে মেলা প্রাঙ্গণ।