তবে একটি অর্থপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা কঠিন হতে পারে। সম্পর্ক আরও মধুর করতে কে না চায়। কিন্তু মাঝে-মধ্যে না চাইতেই ছন্দপতনও হয়। দেখা দেয় জটিলতা। তৈরি হয় দূরত্ব। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এসব কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
বাস্তবে সম্পর্ক এতটা সরলরৈখিক নয়। তবে কিছু বিষয় অনুসরণ করলে সম্পর্ক মধুর থেকে মধুরতর হতে পারে।
সক্রিয় হোন: আপনার আশেপাশে থাকা কাছের মানুষদের সাথে বাইরে যান এবং তাদের সাথে দেখা করুন। বন্ধু, প্রিয়জন কিংবা সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সংযোগ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা নিন।
ভালো শ্রোতা হোন: প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং তারা যা বলতে চায় তা শোনার মাধ্যমে আপনি আপনার কাছের মানুষের সাথে সম্পর্ক সুন্দর করতে পারেন। একজন ভালো শ্রোতা নিজের প্রতি অন্যকে সত্যিকারের আগ্রহী করে তোলে। কারো আগ্রহের প্রতি আগ্রহ দেখানোর মাধ্যম সম্পর্ক সুন্দর হতে পারে।
উদার হোন: পাওয়ার আগে দান করুন। উদার হয়ে এবং অন্যদের সাহায্য করার মাধ্যমে, আপনি বিনিময়ে সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সততা: সততা ও সত্যতার ওপর প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদী এবং অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। সম্পর্কের মাঝে মিথ্যা প্রবেশ করলে সে সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে যায়।
সামঞ্জস্যতা বজায় রাখুন: সম্পর্ক তৈরি করতে সময় ও প্রচেষ্টা লাগে। আপনি সামঞ্জস্যতা বজায় রাখুন এবং আপনার কাছের মানুষগুলোকে সময় দিন। একটি ফোন কল, একটি ইমেল বা এক কাপ কফি হোক না কেন, যোগাযোগে থাকার এবং সম্পর্ককে মজবুত রাখার চেষ্টা করুন।
নমনীয় হোন: মানিক বন্দোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাসের একটা লাইন আছে, ‘মানুষ বদলায়, বেঁচে থাকলে বদলায় কারণে অকারণে বদলায়’। সম্পর্ক গতিশীল ও সময়ের সাথে সাথে মানুষ পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তনের জন্য তৈরি থাকুন এবং তাদের সাথে মানিয়ে নিতে থাকুন।
শেষ পর্যন্ত, সম্পর্ক গড়ে তোলা মানে মানুষ হওয়া। এটি একটি গভীর অনুভূতির বিষয় যে, আমরা সবাই একসাথে আছি। মনে রাখবেন, শুনুন, উদার হোন, সৎ হোন এবং নমনীয় হন। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে, আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই শক্তিশালী ও অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।