টিপস , ফিচার স্টোরি
জীবনযাপন
0

সানস্ক্রিন কখন ক্ষতিকর

তীব্র রোদে ঝিমিয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহ্য এই গরমে জীবনের নানা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতেই হয়। রোদে বেরোলেই পুড়েছে ত্বক। সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বেরোনো মানে ত্বকের বিপদ ডেকে আনা। ঘরের বাইরে আমাদের ত্বক সাধারণত ইউভিএ এবং ইউভিবি নামে দুই ধরনের সূর্যরশ্মির মুখোমুখি হয়। এই দুই রশ্মির কারণে আমাদের ত্বকে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সূর্যের এই রশ্মিগুলো থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়ার কাজটিই করে সানস্ক্রিন। তাই ত্বককে এই রশ্মিগুলো থেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে স্কিন কেয়ার রুটিনে সানস্ক্রিন যোগ করা জরুরি।

সানস্ক্রিনে এসপিএফ শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এর অর্থ হচ্ছে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর। এই এসপিএফের ওপরই নির্ভর করে আপনার সানস্ক্রিন আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে কতটুকু সুরক্ষা দেবে। ধরুন আপনার সানস্ক্রিনে এসপিএফ ৩৫ লেখা আছে। এর অর্থ হচ্ছে সানস্ক্রিনটি আপনাকে ইউভি-রে থেকে ৯৭% সুরক্ষা দেবে। ঠিক একইভাবে এসপিএফ-৫০ ৯৮% ইউভি-রে এবং এসপিএফ-১০০ যুক্ত সানস্ক্রিন আপনাকে ৯৯% সুরক্ষা দেবে।

 

তবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের নিয়মাবলী অনেকেই জানেন না। নিয়মমত সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে ত্বকের সুরক্ষার বিপরীতে ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

১. বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। বাইরে বের হওয়ার পর দুই ঘন্টা পর পর বদলাতে হবে সানস্ক্রিন। না হলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

 

২. সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে অবশ্যই মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপর ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে, এরপর সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করতে হবে। এরপর মেকআপের স্টেপগুলো শুরু করবেন।

 

৩. অনেকেই রান্না করার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে চুলার তাপে ত্বক পুড়তে থাকে। তাই রান্নার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

 

৪. অনেকেরই ধারণা ‘সানস্ক্রিন দিলে ভিটামিন ডি ত্বকে পোঁছায় না’। ভিটামিন ডি শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিউট্রিয়েন্ট। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস। সানস্ক্রিনের ব্যবহার ভিটামিন ডি পৌঁছাতে বাধা দেয় না। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের জন্য সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মাখানোর অভ্যাস করুন। কড়া রোদ ও তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলে বেশিক্ষণ সান এক্সপোজারে না থাকাই ভালো।

 

৫. বাসায় থাকলে চেষ্টা করবেন এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে যেটির এসপিএফ ১৫ থেকে ৩০ এর নিচে। বাইরে বের হলে, চেষ্টা করবেন এসপিএফ ৩০ এর উপরে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে।  

৬. আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরণ ভিন্ন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নেয়া জরুরি। আপনার ত্বক স্বাভাবিক হলে যে কোনও ধরনের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি ত্বক তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর হয় তাহলে ত্বকে জেল, স্প্রে, স্টিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। টিন্টেড সানস্ক্রিন ব্যবহারে ঘাম এবং নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা কম হবে।

আপনার স্কিন টাইপ নরমাল হলে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিন যেটি এসপিএফ ৩০ যুক্ত। স্কিন টাইপ অয়েলি হলে এসপিএফ ৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আর যদি ড্রাই স্কিন হয় তবে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন যাতে ময়েশ্চারাইজার রয়েছে।

এছাড়া সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নেয়া উচিত। এতে করে এলার্জি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রভাব চেহারায় পড়বে না।