এক সময় যা ছিল কেবলই আলোর খেলা, মানুষের সৃষ্টিশীলতায় এখন তা রূপ নিয়েছে শিল্পে। আলোর ঝলক ও কনকনে ঠান্ডা দুইয়ে মিলে যেন একাকার গোটা নগরী, রয়েছে নানা শিল্পকর্মের প্রদর্শনীও।
পানির উপর সারিবদ্ধভাবে ভাসছে রং-বেরঙের ওয়াটার বল। যা আলো ও শব্দের সাথে স্পন্দিত হয়। সব মিলে এমন উপভোগ্য মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন দর্শনার্থীরা।
মেগা সিটি লন্ডনের ক্যানারি ওয়ার্ফে চলছে বার্ষিক উইন্টার লাইট ফেস্টিভাল বা শীতকালীন আলোর উৎসব। উৎসব কেন্দ্র করে গোটা নগরী আলোকিত। চারিদিকে বসেছে আলোর ফোয়ারা। আলো দিয়ে তৈরি করা শিল্পকর্ম দেখতে ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের।
উৎসবে নান্দনিক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একেকটি শিল্পকর্ম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী নানা পটভূমি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হরেক রকমের প্রদর্শনী স্থান পেয়েছে। যেখানে আলোর সাহায্যে নির্মাণ করা হয়েছে মানুষের প্রতিকৃতি, ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতিকে।
উৎসবটিতে রয়েছে বাংলাদেশি প্রদর্শনীও। যেখানে নিপুণ কারুকার্যে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির পাশাপাশি মরমি সাধক হাছন রাজাকে তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সংস্কৃতির তাৎপর্যের জন্যই এমন প্রদর্শনীর কথা জানান নির্মাতা।
নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের মা-খালাদের গল্পটা তুলে ধরেছি। যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে এনেছিল। এখানে তাদের জীবনের সংগ্রাম ও কষ্টের কথাও ঠাঁই পেয়েছে। পুরো বিষয়টি আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।’
তবে এবারের উৎসব অন্যান্য বারের চেয়ে খানিকটা ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
আয়োজকদের একজন বলেন, ‘লন্ডন খুবই সুন্দর শহর। এই উৎসব স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিল্পীদের একত্রিত করেছে। নির্মাতা ও দর্শনার্থীরা খুব উপভোগ করছে।’
স্থানীয়ভাবে ক্যানারি ওয়ার্ফের উইন্টার লাইটসকে নতুন রূপকথার গল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই আলোর উৎসব ক্রমেই লন্ডনবাসীর কাছে একটি সত্ত্বায় পরিণত হচ্ছে।