নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজারে শুরু হয় ভোজ্যতেলের অস্থিরতা। এরপর ৯ ডিসেম্বর লিটারে ৮ টাকা বাড়িতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক হয় ১৭৫ টাকা। এরপর এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রামের বাজারে কাটেনি সংকট। এখনও স্বাভাবিক হয়নি সয়াবিন তেলের সরবরাহ।
বিক্রেতারা বলছেন, গত ৩ সপ্তাহ ধরে সরবরাহ সংকট চলছে বাজারে। লিটারে আট টাকা দাম বাড়ানোর পর কিছুটা সরবরাহ বাড়লেও তা চাহিদার চেয়ে কম। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে বাসমতি চাল, সরিষা তেল ও সূর্যমুখী তেল কিনতে দোকানিদের বাধ্য করছেন ডিলাররা।
এদিকে, বোতলজাত তেলের সংকট দেখা দেয়ায় বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেলের চাহিদা। এতে ১৬০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হওয়া খোলা তেল কয়েক দফা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। যা বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, মিলাররা একদিকে সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি, অন্যদিকে অসাধু বিক্রেতারা বাড়তি লাভের আশায় বোতলজাত সয়াবিনকে খোলা তেল হিসাবে বিক্রি করছেন। এতে সংকট বাড়ছে বাজারে।
একই পরিস্থিতি বরিশালেও। বাজারে চাহিদামতো মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। পাড়া-মহল্লায় এ সংকট আরও প্রকট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেলের অর্ডার দিলে বাধ্যতামূলক ভাবে নিতে হচ্ছে চাল, আটা, ময়দা, সুজি ও চাপাতা। সেখানেও বেড়েছে খুচরা সয়াবিন তেলের দাম। গত ২ মাসে ২০ টাকা বেড়ে এখন খুচরা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকা কেজি দরে।
তেলের দাম সহনীয় রাখতে নতুন বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানিতে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও আগাম আয়কর শতভাগ অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।