রাজধানী ঘুরে দেখা গেল থানায় পুলিশের পাশাপাশি পাড়ার দায়িত্বে আছে সেনা বাহিনী ও ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যরা। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে থানার রোটা তৈরি থেকে শুরু করে জিডি নেয়ার কাজ শুরু করেছে তারা। পুলিশ সাধারণ মানুষের শক্রু নয় বন্ধু। তাই পুলিশের উপর হামলা না চালনোর অনুরোধ তাদের।
এদিকে ওয়ারি থানায় সকালে গিয়ে দেখা যায় আনসার সদস্যরা রয়েছেন। সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের কিছু সদস্য যোগদান করছেন। তবে ওয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সী জানান, এই থানার একটা কলম পর্যন্ত অবশিষ্ট নেই। শুধু জিডি এন্ট্রি ছাড়া চলছে না কোনো কার্যক্রম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৩৮টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন মেট্রোপলিটন এলাকার ১১০টি থানার মধ্যে ৮৪টি এবং জেলা পর্যায়ে ৫২৯টি থানার মধ্যে ৪৫৪টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব থানার নিরাপত্তায় সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলা ছাড়া থানার অন্য কোনো কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। পুরোদমে থানা চালু করতে আরও সময় লাগবে।
পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম ৭ আগস্ট সব পুলিশ সদস্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পুলিশ বাহিনীকে কোনো দলীয় সরকার যাতে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনসহ ১১ দফা দাবি তুলেছেন পরিদর্শক থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত অনেক পুলিশ সদস্য। এখনো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।