ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

প্রতি বিসিএলে বিসিবির বিনিয়োগ ৮ কোটি

প্রতি মৌসুমে লঙ্গার ভার্সন, ওয়ানডে ফরম্যাটের বিসিএল শেষ করতে বিসিবির বিনিয়োগ ৮ কোটি টাকা। স্পন্সর সংকটের কারণে পুরো অর্থই বোর্ডকে দিতে হয়। এমনটাই জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল আলম ববি।

জাতীয় লিগের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বা বিসিএল ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্সনের অন্যতম আসর। প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই সময়ে চারদিনের ও একদিনের এ আসর আয়োজন করে বিসিবি'র টুর্নামেন্ট কমিটি। দুই ফরম্যাটের এই আসর সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয় বোর্ডকে। কিন্তু কোন স্পন্সর না থাকায় ক্রিকেট বোর্ডকেই পুরো অর্থ ব্যয় করতে হয়।

বিসিবি'র টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, আমাদের যে মার্কেটিং কমিটি আছে তাদেরও এই অবস্থা জানিয়েছি, এবং তারাও কিছু স্পন্সর জোগাড় করার ক্ষেত্রে সচেষ্ট আছে। আমার ধারণা এ বছর না হলেও আগামী বছর পরিপূর্ণভাবে স্পন্সর পাবো।'

ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যাপারটি মাথায় রেখে বৃদ্ধি করা হয়েছে ম্যাচ ফি থেকে সার্বিক সুবিধা। চারদিনের ম্যাচে ৮৫ হাজার আর একদিনের ৫০ হাজার টাকা ম্যাচ ফি দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও, দুই ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি থেকে শুরু করে আবাসন, খাবার, পরিবহনে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে চায় ক্রিকেট বোর্ড।

ববি আরও বলেন, 'একজন খেলোয়াড় ব্যাটিং বা বোলিং করতে নেমে যদি তার চিন্তা করতে হয় যে বাসায় গিয়ে তার কি রান্না করে খেতে হবে। তাহলে এ পরিস্থিতিতে কেউ খেলতে পারবে না। এ বিষয়ে রেহাই দিতে পারলে তারা পুরোপুরিভাবে খেলাধুলায় মন দিতে পারবে। সেটা থেকে আউটকামটা ভালোই হবে।'

টেস্ট ক্রিকেটে দুই যুগে টাইগাররা। কিন্তু এলিট ফরম্যাটে বাংলাদেশের উন্নতির গ্রাফটা আশানুরূপ নয়। তাই ব্যয়বহুল হলেও লঙ্গার ভার্সনে ডিউক, কুকাবুরা ও এসজি বলের ব্যবহার বেড়েছে।

এছাড়াও গেল চার বছর হলো। উইকেটে ৬ মিলিমিটার ঘাস রেখে নিয়মিত লঙ্গার ভার্সন ম্যাচ আয়োজন করছে বিসিবি'র টুর্নামেন্ট কমিটি।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর